স্বাধীনতা

বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আজ প্রায় ৫৪ বছর । সবাই খুব গর্ব করে বলে আমরা বীরের জাতি। অনেক রক্ত আর মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জন করেছি স্বাধীনতা। মাঝে মাঝে মনে প্রশ্ন জাগে কোন দিক থেকে আমরা স্বাধীন হয়েছি? স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় কিছু লোক বিরোধীতা করেছিল এবং অপকর্মে লিপ্ত ছিল। কিন্তু স্বাধীনের পর তাদের কোন বিচার করেনি। কেন বিচার করা হয়নি? আজও আমরা জানি না । আশা রাখি জাতি কোন একদিন জানতে পারবে এর কারণ । শোষণ আর নিপীড়নের অত্যাচার মানুষ সইতে না পেরে স্বাধীনতার ডাক দেয়। অনেক মানুষের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। বাংলাদেশ নামে একটি দেশ আমরা পেলাম। আলাদা একাটা ভুখন্ড ই শুধু পেলাম , যা পেলাম না সেটা হল স্বাধীনতা। কারণ আবার সেই অন্যায় অত্যাচার, নিপীড়ন শুরু হয় সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের শাসক গোষ্ঠী দ্বারা । যা সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারেনি। ক্ষোপ জমা হতে থাকে জনমনে। আবারও মুক্তির পথ খুজতে থাকে এবং মুক্ত হয়েও যায়। কিন্তু সেটাও বেশী দিন টিকলো না।ক্ষমতা চলে যায় স্বৈর শাসকের কাছে । সেখানে কাটল দীর্ঘ নয় বছর। প্রচণ্ড আন্দোলনের চাপে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় ততকালীন স্বৈর শাসক। ভোটের মাধ্যমে একটি দল ক্ষ্মতায় আসে এবং তারা পাঁচ বছর শাসন করে।তারপর আরেক দল আসল যারা দাবি করে তারাই দেশ স্বাধীন করেছে। জনগনের আশা পুরনে তারাও ব্যর্থ যদিও জনগন তাদের কাছে বেশী কিছু আশা করেনি, কারণ তাদের অতীত রেকর্ড । এর পর থেকেই শুরু হয় চিরস্থায়ীভাবে ক্ষ্মতায় থাকার লালসা, এই লালসা স্বাধীনের পরও ছিল। একদল সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতায় থেকে ভোট গ্রহণের পক্ষে এবং তারা সেটাই করে আসছেন বিগত ১৬ বছর যাবত। রাস্টের যন্ত্র ব্যবহার করে ভোটবিহীন ভাবে ক্ষমতায় টিকে আছে দমন পীড়নের মাধ্যমে। কেউ কিছু বলতে পারবে না , কেউ কিছু লিখতে পারবে না , না পারবে সরকারের কোন সমালোচনা করতে। যে করবে সেই শেষ।
এভাবেই চলছে , তাহলে স্বাধীনতা কোথায়?

Tags:

No Responses

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *